পরম্পরার মধ্যে ধর্মের অবস্থান আর প্রথাই ধর্মকে ধরে রাখার দ্বায়ীত্ব পালন করে এটাই সত্যি কিন্তু কেবল প্রথাকেই কি ধর্ম বলে ? বিবেচনা করুন।
সত্য তো এই যেভাবে পাষানের ভীতর শিল্প থাকে ঠিক তেমনই প্রথার মধ্যে ধর্ম কে পাওয়া যায়। পাথরের মধ্যে শিল্প আছে কিন্তু পাথর শিল্প নয়। শিল্প কে ফুটিয়ে তোলার জন্যে পাথর কে ভাঙ্গতে হয় অপ্রয়োজনিয় অংশগুলিকে কেটে বাদ দিয়ে দিতে হয় ঠিক সেই ভাবেই প্রথার মধ্যে ধর্মকে খুজে বের করতে হয়। যেমন করে ইন্দ্র পূজার প্রথা ত্যাগ করে গোবর্ধন পূজার আরাম্ভ যদি না হত যাদবেরাও তাদের মুক্তির পথ খুজে পেত না।
অর্থাৎ প্রথা পালনে যে বেশি গোড়ামি করে ধর্ম থেকে সে বঞ্চিত হয়ে যায় আর পরম্পরার অন্ধ অনুকরন যে করে সেও প্রকৃত ধর্ম পরায়ন হতে পারে না।
কথায় আছে হংস সর্বদা নিরক্ষির পার্থক্য করতে পারে। দুধে জল মেশানো থাকলেও কেবল দুধ টুকুই গ্রহন করে। তবে কি যথার্থ ধর্ম জ্ঞান পেতে হলে হৃদয়ে জ্ঞান থেকে প্রসুত গ্রিব থাকা আবশ্যক নয়। আর সেই বিবেক না থাকলে যাকে আমরা ধর্ম বলে মনে করছি তা আসলে প্রকৃত ধর্মই নয় এমনও তো হতে পারে।
স্বয়ং বিচার করুন-
-ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
0 মন্তব্যসমূহ